মালদা ৩ নভেম্বর : বৃদ্ধা মাকে মারধর এবং নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল এনভিএফ কর্মীর বড় ছেলের বিরুদ্ধে। ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধা মা। শুক্রবার রাতে ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়রাবাদ গ্রামে । এই ঘটনায় মৃতের ছোট ছেলে বিষ্ণু কর্মকার তার দাদা স্বপন কর্মকারের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নমিতা কর্মকার (৫৮)। তার স্বামী লক্ষণ কর্মকার এনভিএফ কর্মী ছিলেন । ২০১০ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় লক্ষন বাবুর । সরকারি নিয়ম অনুসারে পরিবারের একজন কেউ লক্ষণ বাবুর জায়গায় চাকরি পাবেন । সেই মতই নমিতা দেবী তার বড় ছেলে স্বপন কর্মকারকে এনভিএফ- এ চাকরি করার প্রস্তাব দেয়।মৃত ওই মহিলার ছোট ছেলে বিষ্ণু কর্মকার পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন , চাকরি পাওয়ার সময় কথা ছিল বৃদ্ধা মা এবং আমাদের দুই ভাই-বোনকে দেখবেন দাদা। কিন্তু দেড় মাস আগে দাদা হঠাৎ করে বিয়ে করে ফেলেন। এরপর সে আলাদা হয়ে যায়। গরিব সংসারে আমাদের অভাব শুরু হয় । সংসার চালানোর টাকা দাদার কাছে চাইতে গেলে মাকে ব্যাপক মারধর করে বরদা । এনিয়ে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন মা। শুক্রবার বাড়ির লোকেদের অলক্ষ্যে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন আমার মা ।দাদা স্বপন কর্মকারের অত্যাচারী মা আত্মঘাতী হয়েছেন।মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে , পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে স্বপন কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি । তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।